সিজারের কাটা শুকাতে কত দিন লাগে-- সেই বিষয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। সাধারণত সিজারের পর সিজারের কাটা শুকাতে প্রায় ৬ সপ্তাহ সময় লেগে যায় ,আবার কারো কারো বেশি সময় লাগে। এর কারণ হচ্ছে সঠিক সচেতন না থাকার অভাব অথবা সিজারিয়ান রোগীর চর্বি বেশি। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে মূলত কতদিন সময় লাগে। এবং সেই বিষয়ে আমাদের আর্টিকেলটি বিস্তারিত ভাবে সাজানো হয়।
সিজারের কাটা শুকাতে কত দিন লাগে?
সিজারের কাটা শুকানোর জন্য সময় লাগে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এই ছয় সপ্তাহ শুরু করে আট সপ্তাহ কোন ধরনের ভারী কাজ করা যায় না। যদি এর মধ্যে সেজেরিয়ান রোগী ভারী কোন কাজ করে তাহলে আরো বেশি সময় লাগে। অথবা অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়।
তবে প্রথম কয়েক সপ্তাহ হালকা পরিমাণে হাঁটাচলা করতে পারবেন। এবং ছয় সপ্তাহ সম্পন্ন হলে মোটামুটি ভারী কাজ শুরু করতে পারবে। এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো প্রথমে হালকা ভারী কাজ করবে। এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে কাজের পরিমাণ বাড়াতে পারবে।
স্থানে ঘা শুকানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। এবং রুটিন মাফিক চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সংক্রান্ত খাবার খেতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার যেমন তেতুল আচার চাটনি এগুলো খাওয়া উচিত হবে না।
সিজারের কাটা স্থান তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়
প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে সিজারের কাঁটা স্থানকে সুন্দর মত পরিষ্কার করতে হবে। এবং মলম লাগাতে হবে। সিজারের প্রথম কয়েক ঘন্টা পর নরম খাবার বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। এবং ধীরে ধীরে আর জাতীয় খাবার খেতে হবে।
বাচ্চা যদি প্রথমে দুধ খেতে শুরু করে তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। এবং পুষ্টিকর খাবার এবং আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে। সিজারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় তাই প্রচুর পরিমাণে পানি সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
সিজারের কাটা স্থান নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা
সিজারের কাঁটা স্থান নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। এই ভুল ধারণা গুলি আমাদেরকে দূর করা উচিত। এবং এই ধরনের ভুল ধারণা দূর করার জন্য আমাদের সিজার সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা উচিত। কাঁটা স্থান নিয়ে আমাদের যে সমস্ত ভুল ধারণা রয়েছে তা হলো। সিজারের পর কোনভাবেই টং জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা মালটা আমলকি খাওয়া যাবেনা, এবং সিজারের পর কোন ভাবেই হাঁটাচলা করা যাবে না।
আমাদের এই সমস্ত ভুল ধারণা দূর করতে হবে এবং সঠিকভাবে জানতে হবে সিজারের পর সঠিক হওয়া পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।
সিজারের পরের দিন থেকেই হালকা ভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে এবং নানা রকম জটিলতা কমে যাবে। নিজে নিজে বাথরুমে যেতে হবে এবং নিজেই নিজের খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।
সিজারের কাটা স্থান নিয়ে বিশেষ সতর্কতা
স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা আপনি যদি করেন তাহলে পেটের উপর চাপ পড়তে পারে। এর জন্য আপনাকে বেল্ট ব্যবহার করতে হবে যাতে কোনভাবেই কাটা বা অপারেশনের জায়গার উপর কোন ভাবে জোট না লাগে। কোন অবস্থাতেই ভারী জিনিস উঠানো যাবে না। এবং ছেড়ে দিয়ে ওঠানামা করা যাবে না। সিঁড়ি ব্যবহার করা যাবে না।
সব থেকে বড় অবস্থা হল মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে এবং রুটিন মাফিক চলতে হবে। তাহলে একজন সিজারিয়ান রোগী খুব সহজে এবং অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
পাঠক আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি করার পর সিজারের কাটা ঘা শুকাতে বিশেষ সতর্কতা সহ কত দিন সময় লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছে। এরকম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ধারণা পেতে আমাদের সাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট করুন।
Tags
Medical