ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার

 ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার 

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার কি আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার চার্ট pdf :

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে তা নয় অল্প পরিমাণে নির্দিষ্টভাবে খাবার তালিকায় রেখে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। তাহলে কোনরকম সমস্যা হবে না।

একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট যেমন হওয়া উচিত তাহলে

* ফলমূল ও সবজি : আপনি আপনার খাবার তালিকায় ফলমূল ও সবজি রাখবেন বৈচিত্র্যময় প্রতিদিন একটাই খাবেন না। কারণ ফলমূল শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফাইবারে পরিপূর্ণ। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় শর্করাযুক্ত শাকসবজি বেছে নিন। কোমল পানি বা ফলের জুস এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর বদলে আপনি ফলমূল দুই এক টুকরা করে প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না। যে ফলমূল গুলো আপনি খেতে পারেন সেগুলো হল জাম্বুরা, খেজুর, মৌসুমী ফলগুলো অল্প পরিমাণে খাবেন ইত্যাদি।

* শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার যেমন : বাদামি চালের ভাত, লাল আটার রুটি পাউরুটি ইত্যাদি এগুলো খেতে হবে।

* প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় ডাকতে হবে যেমন : মাছ, মাংস, ডিম, দুধ অন্যান্য ডাল ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম। এগুলো আবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যাবে না অল্প পরিমাণে আস্তে আস্তে খেতে হবে তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। তেল মশলা দিয়ে প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলো খাওয়া যাবে না এতে হৃদরোগের ডায়াবেটিস রোগীদের মাত্রা বেড়ে দিতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

* দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার ও খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে যেমন : ছানা, পনির, দই ইত্যাদি। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি দিয়ে খাওয়া যাবে না এতে ক্ষতি হতে পারে।

* চর্বি ও বিভিন্ন ধরনের তেল জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। কিন্তু তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার ফ্যাট বাড়ায় তাই অল্প পরিমাণে খেতে হবে প্রতিদিন তালিকায় রেখে আস্তে আস্তে। বেশি পরিমাণে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে খেতে হবে নিয়ম অনুযায়।

তাই বলা হয় যে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় ও পুষ্টি জাতীয় যে খাবারগুলো আছে সবগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কিন্তু অল্প পরিমাণে প্রতিদিন একটু করে খেতে হবে তাহলে কোন সমস্যা দেখা দিবে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের খাবার চার্ট তৈরি করা উচিত স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা :

আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনি কি খাচ্ছেন না খাচ্ছেন এগুলো সবদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত আপনার জন্য শুধু সেগুলোই খাবেন। আপনি বাড়তি কিছু বা বেশি করে কিছু খেলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। এজন্য নিয়ম করে আপনার যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয় সেগুলো খাবেন না। পুষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। তাই বলা হয় যে ডায়াবেটিস রোগীদের পুষ্টির জন্য সুগারের মাত্রা যাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে এ জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। তাহলে কোন সমস্যা দেখা দেবে না।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে খাবার গুলো একেবারে নিষিদ্ধ ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াই সেই খাবারের তালিকা হলো :

* সাদা চাল : যাদের বেশি ডায়াবেটিসের মাত্রা তারা যদি সাদা চাল খায় তাহলে সেই রোগীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তত বাড়তে থাকে। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের সাদা চাল খেলে ১১% ঝুকির মাত্রা বাড়তে থাকে। কারণ এই সাদা চালকে যখন প্রক্রিয়া করা হয় তখন চাল সাদা করা হয় এবং চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের এই সাদা চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। এজন্য এই সাদা চালের ভাত খাওয়া যাবেনা।

* কলা ও তরমুজ : সব তর তাজা ফলমূলই ভিটামিন ও পুষ্টি থাকে। কিন্তু ফলমূলের সুগারের পরিমাণ থাকায় পুষ্টিগুণ যতই ভালো থাক না কেন গ্লুকোজের পরিমাণও রয়েছে প্রচুর। তাই এ জাতীয় খাবার না খাওয়াই উচিত।

* চাইনিজ খাবার : চাইনিজ খাবারের তেল চর্বি জাতীয় খাবার। তাই এ খাবার যতই মুখরোচক হোক না কেন এই খাবার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীদের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই তেল যদি জাতীয় বাইরের চাইনিজ খাবার খাওয়া যাবে না।

* পেস্ট্রি : পেস্টিজ জাতীয় খাবার যত সুস্বাদু হোক না কেন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই খাবার অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এই পেস্ট্রি জাতীয় খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয় সাদা চাল থেকে যা চর্বি, ফ্যাট এবং সোডিয়াম রয়েছে। তাই এগুলো চিনি জাতীয় কেক, পেস্ট্রি খাবার থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের দূরে থাকতে হবে।

* ফলের রস : ফলের রস যেকোনো সময় খাওয়া যায় যেমন অনেকেই সকালের নাস্তার ফলের রস খেয়ে থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফলের রস হুমকির স্বরুপ। এছাড়াও দোকানে যে ফলের রসগুলো পাওয়া যায় সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে তাই এগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

* চর্বি সমৃদ্ধ মাংস : চর্বিযুক্ত মাংশে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই চর্বি সমৃদ্ধ মাংস এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এসব খাবার না খাওয়াই উচিত যতই পুষ্টি উপাদান থাক না কেন।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় :

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত শরীরচর্চা, খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা ইত্যাদি বজায় রাখলে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায় রয়েছে সেগুলো হলো

* মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা : অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণের ডায়াবেটিসের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই বলা হয় যে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের মানসিক চাপ, চিন্তা এগুলো বেশি করা যাবে না। এগুলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিস রোগীদের মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

* পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম : একজন ডায়াবেটিস রোগীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিদিন একজন ডায়াবেটিস রোগীকে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার মতো ঘুমাতে হবে। তাই বলা হয় যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীর পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে।

* পানি পান করা : ডায়াবেটিস রোগীদের পানি পান করা উচিত পরিমাণ মতো। কারণ শরীর থেকে মূত্র ট্যাগ করার সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ বেরিয়ে যায়। তাই এই পুষ্টির ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য একজন ডায়াবেটিস রোগীকে প্রতিদিন ৪ লিটার পানি পান করা উচিত।

* ওজন নিয়ন্ত্রণ করা : একজন ডায়াবেটিস রোগী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় খাদ্য অভ্যাস ও শরীরচর্চার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

* ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা : একজন ডায়াবেটিস রোগীকে ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে বলেছেন এবং ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য যেভাবে চলাফেরা খাদ্য তালিকা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন সেভাবেই চলা উচিত। ডাক্তার বিশেষজ্ঞ যেভাবে আপনাকে প্রতিদিন ওষুধ সেবন করতে বলেছেন সে অনুযায়ী আপনি প্রতিদিন ওষুধ সেবন করবেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

* নিয়মিত শরীর চর্চা করা :একজন ডায়াবেটিস রোগীর শরীর ফিট রাখতে ওর শরীর শর্কর আর লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণের কিছু শরীর চর্চা করা উচিত। এতে ডায়াবেটিস রোগী মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পায়। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

* প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া : একজন ডায়াবেটিস রোগী তার প্রতিবেলায় খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখবে তার ডায়াবেটি নিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভর করে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিবেলা সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রাখা উচিত।

* ব্লাড সুগার চেকআপ করা : একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতি মাসে মাসে ব্লাড সুগার চেকআপ করা উচিত। কারণ এতে করে তার ডায়াবেটিসের পরিমাণ কতটা বেড়েছে বা কমেছে তা সে জানতে পারবে। আর এই ডায়াবেটিস লেভেল সম্পর্কে জানতে পারলে সে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

এই উপায়গুলো প্রতিদিন মেনে চলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকার ফল :

মৌসুম যে কোন সময় নানা ধরনের নানা রকমের ফল পাওয়া যায় যা চোখের সামনে দেখলে লোভনীয়তা কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের যতই খেতে মন চায় তাদের খেতে ভয় হয়। ডায়াবেটিসের রোগী যা কিছুই খাক না কেন তাতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এগুলোই ফ্রোকটজ এ পরিণত হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি জাতীয় ফল খেতেও ভয় পান। কিন্তু বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ রায় বলেছেন যে বেশ কিছু ফল রয়েছে, যা খাওয়া অত্যন্ত ভালো। আর যেগুলো মিষ্টি জাতীয় ফল বেশি সেগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।

যে ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া ভালো সেগুলো হলো :

জাম :জাম ফল হল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার করে থাকে জাম ফল বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। জামের যে বীজ রয়েছে তা ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো বলে জানা গিয়েছে।

পেয়ারা :পেয়ারা ফলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া যেতে পারে। পেয়ারা ফল অনেকক্ষণ পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এটি কোন ভয় না পেয়ে খেতে পারে এতে কোন ক্ষতি হবে না।

কমলালেবু : কমলালেবু ফল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই বলা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কমলালেবুর ফল খুবই উপকারী।

কামরাঙ্গা :কামরাঙ্গা ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা কামরাঙ্গা ফল খেতে পারবে।

আপেল :আপেল ফলে পুষ্টির চাহিদা অনেক। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আপেল ফল খেলে পুষ্টির চাহিদা তাদের পূরণ হবে। আবার আপেল ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়।

তাই বলা যায় যে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে উপরের এই ফলগুলো খাদ্য তালিকায় রাখার প্রয়োজন। তারা এই ফলগুলো খেতে পারবে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২৪ :

ডায়াবেটিস একটি ভয়াবহ রোগ বলে আমরা জানি। কারণ এ রোগ টি আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্য ভাসের সাথে নির্ভরশীল। একটি উলটপালট হলেই এর বড় আকার ধারণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

* শক্তি প্রদানকারী খাদ্য : একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিন ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে ২৫ থেকে ৩০ %। যাদের ওজন বৃদ্ধি রয়েছে তাদের একটু ৩৫ ক্যালরির কম খেতে হবে।

* শর্করা জাতীয় খাদ্য : ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মোট শক্তির শর্করা জাতীয় খাদ্য আসতে হবে ৫৫%থেকে ৬০ %। শর্করা জাতীয় খাদ্যের প্রধান উৎস হতে পারে যেমন ভাত, রুটি, ডাল, মাছ, মাংস ইত্যাদি। আর চিনি যুক্ত যেমন পাউরুটি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি এগুলো একেবারে খাওয়া যাবেনা।

* আমিষ জাতীয় খাদ্য : একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য আমি জাতীয় খাদ্য খেতে হবে তার ওজনের ৮ গ্রাম করে । সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। মুরগি খেলে আরো ভালো হয়। দুধ ও দই নিয়মিতভাবে পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হবে। চর্বিযুক্ত গরুর মাংস খাসির মাংস এগুলো না খাওয়াই ভালো।।

* শাকসবজি :শাকসবজি ইচ্ছা মতো খাওয়া যেতে পারে এতে কোন বাধা নেই। যেকোনো ধরনের শাকসবজি যেমন :পুঁইশাক, লাউ, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো ইত্যাদি যত ধরনের সবজি রয়েছে সবই আপনি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারবেন।

* ইচ্ছামত যে ফলগুলো খাওয়া যাবে সেগুলো হলো : লেবু, আমড়া, বাতাবি লেবু, বেশি পেয়ার ইত্যাদি মিষ্টি ছাড়া ফল আপনি ইচ্ছামত প্রতিদিনই খেতে পারবেন।

উপরের এসব খাদ্যই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারবেন। এ বাতিতে যে খাবারগুলো রয়েছে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম করে খেতে পারবেন এতপ আপনার কোন সমস্যা হবে না।

ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার :

আমরা জানি যে সকালের খাবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকালের খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা নির্ভর করে থাকে। তাই সকালের খাবারের দিকে সবাইকেই নজর দেওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস রোগ এখন ঘরে ঘরে দেখা যায়। কিন্তু দেখা যায় যে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা কেউই খাদ্যভ্যাস মেনে চলতে চায়না। তাদের রয়েছে সচেতনতার অভাব। তাই তাদের ডায়াবেটিস রোগের মাত্রা দিন যাচ্ছে বেড়েই যাচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সকালের নাস্তার দিক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাদের সকালের নাস্তায় চিনি জাতীয় খাদ্য ও কার্বন-হাইড্রেট যুক্ত খাদ্য এরিয়ে চলা উচিত। যেমন :সাদা চিনি খাওয়া যাবেনা, প্যাকেট জাত জুস, ফলের জুস, সাদা পাউরুটি, তিনি যুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার, মুড়ি ইত্যাদি এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলো খেলে হঠাৎ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে যে তাদের সকালের নাস্তায় সব সময় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ফাইবারের ভারসাম্য বজায় রাখা। এই ধরনের খাবার খেলে পেট অল্পতেই ভরে যায় এবং অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা ও বৃদ্ধি পায় না। সকালের নাস্তা যে খাবারগুলো রাখবেন সেগুলো হলো : পরিমাণ মতো আটার রুটি, সবজির তরকারি, ডিম সেদ্ধ। এই খাদ্যগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি :

সারা পৃথিবীতে ডায়াবেটিসের সংখ্যা দিন যাচ্ছে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের কারো না কারো ডায়াবেটিস রোগ হচ্ছেই। এই রোগ একেবারেই ভালো করা সম্ভব নয় কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রেখে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় যে সবজিগুলো রাখা উচিত সেগুলো হল :

পালং শাক, ফুলকপি, পাতাকপি, বাঁধাকপি, লেটেস্টপাতা ইত্যাদি। এই সবজিগুলোতে কার্বন-হাইড্রেট এর পরিমাণ ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই বলা যায় যে গবেষণায় দেখা গেছে যে শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের পরিমাণ ১৪% কমে যায়। তাই বড় বড় চিকিৎসা বিদ ডায়াবেটিস রোগীদেরকে শাকসবজি প্রতিদিন খেতে বলেন। শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ে না বরং কমে।তাই একজন ডায়াবেটিসের রোগী যেকোনো ধরনেরই শাকসবজি তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারবেন। 

ডায়াবেটিস রোগীর রাতের খাবার :

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা কখনো ভালো হয় না। এজন্য ডায়াবেটিস রোগকে খাদ্যভ্যাস ও জীবনধারার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার বেড়ে গেলে সমস্যা হয় এজন্য চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা রাতে কখন খাচ্ছেন এই দিকে লক্ষ্য দিতে হবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। অনেক মানুষের রাতের খাবার এখন দেরিতে খায় কিন্তু এটা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই যদি শুয়ে পড়েন বা ঘুমিয়ে পড়েন তার ফলে সকাল পর্যন্ত আপনার শরীরে সরকরা বাড়তে থাকবে। 

যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতে খাবার খাওয়ার ক্যালরি গুলো খরচ হওয়ার সুযোগ পায় না এজন্য রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রাতে যে খাবারগুলো উপযোগী সেগুলো হলো : সেদ্ধ লাল চাল, লাল আটা, যবের আটা, কি দিয়ে খাওয়া হয় এমন জাতীয় ফল, সাবধানেই শাক সবজি যেমন গাজর, পালং শাক, পুঁইশাক, পেঁপে, দুধ, টক দই ইত্যাদি কমবেশি করে খেতে পারবেন একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন রাতে।

একদিন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে রাতে মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই উত্তম। খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে রাতে। এগুলো খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের প্রবলেম ও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এগুলো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

FAQ

১, ডায়াবেটিস কী?

ডায়াবেটিস হলে এমন এক ধরনের রোগ যা রক্তে যদি সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে ডায়াবেটিস রোগ বেড়ে যায় তাহলে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়ায়। ইনসুলিন নামের এক ধরনের হরমোন যা রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

২, ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় কী?

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মেনে চলে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। শরীর চর্চা করতে হবে। এগুলো ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩,সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস?

খালি পেটে যদি ধরা হয় সেক্ষেত্রে ৭ পয়েন্টের উপরে চলে যায় তখন তাকে ডাইবেটিস ধরে। আবার যখন ভরা পেটে ২ ঘন্টা পর দেখা হয় তখন ১১.১ পয়েন্টের বেশি হলে তাকে ডায়াবেটিস ধরা হয়।
 
৪, কতদিন পর পর রক্তের সুগারের মাত্রা পরিমাপ করা হয়?

এক মাস পর পর রক্তে সুগারের পরিমাপ মাত্রা নির্ণয় করা উচিত। কিন্তু আপনার ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে যেভাবে পরিমাপ করতে বলেছে সে অনুযায়ী করলে আরো ভালো হবে।

৫,কখন কখন ওষুধ খাওয়া উচিত?

ডাক্তারের পরামর্শ চারা ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। নিজে নিজে কখনোই ওষুধ খেতে যাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার নিয়ম ও কখন কখন ওষুধ খেতে হবে তা ভালোভাবে জেনে নিয়ে ওষুধ খাবেন।

৬,কি ধরনের ডায়েট অনুসরণ করবেন?

ডায়াবেটিস রোগ কখনোই ভালো হয় না কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।

৭,কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?
যে খাবারগুলো খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

৮,ডায়াবেটিস কয় ধরনের?
ডায়াবেটিস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে।

৯, ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ গুলি কি কি?
টাইপ - ১ ডায়াবেটিস, টাইপ -২ ডায়াবেটিস, টাইপ-৩ ডায়াবেটিস, টাইপ-৪ ডায়াবেটিস।

১০, ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি?

ঘনঘন প্রসাদ হওয়া, পানি পিপাসা বেশি লাগতে পারে, শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতা ভাব আসে, বেশি বেশি ক্ষুধা পাবে ইত্যাদি আরো কিছু দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা:ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার সম্পর্কে জানতে পারলেন । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম