ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম
 ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম

এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম কি আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসাঃ

ব্রেইন স্ট্রোক এর চিকিৎসা ডাক্তাররা দিয়ে থাকে স্ট্রোকের ধরন অনুযায়ী। যেমন ইস্কেমিক স্ট্রোক ও হেমোরেজিক স্ট্রোক।

ইস্কেমিক স্ট্রোক হল : এই স্ট্রোক টি হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় মস্তিষ্কের গুহাটিতে অঞ্চল কে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করতে হবে। স্ট্রোক শুরু হওয়ার বা লক্ষ দেখা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। যত চিকিৎসা দ্রুত নেওয়া হবে তা স্ট্রোকের রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই বলা হয় যে সময়মতো চিকিৎসা না করতে পারলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব দেখা দিতে পারে।

ইস্কেমিক স্ট্রোকের প্রধান চিকিৎসা হলো আলেটপ্লেস নামক একটি ঔষধ (tpa) । এই ওষুধটি শিরা( IV) এর মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে বাধা দিতে পারে। ওষুধটি যদি এই শিরায় দেওয়া হয় তাহলে লক্ষণ শুরু হওয়ার 4.5 ঘণ্টার মধ্যে থেরাপি দেওয়া উচিত। TPA মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা উন্নত করে একজন ব্যক্তির এবং জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।

হেমোরিজিক স্ট্রোক : এই স্ট্রোকের প্রধান চিকিৎসা হলো মস্তিষ্কের রক্তকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা এবং মস্তিষ্কের উপর থেকে চাপ কমানো, রক্ত জমাট বাঁধতে না দেওয়া। এই চিকিৎসার বিকল্প গুলো হল

ঔষধ : এই স্ট্রোক হলে একজন চিকিৎসক নিম্নলিখিত থেরাপির চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

*রক্তচাপ কমাতে ওষুধ দিয়ে থাকে।

* যদি কোন ব্যক্তির রক্ত পাতলা করা ওষুধ খেয়ে থাকে তাহলে তাকে আবার রক্ত জমাট বাধার বিকল্প ওষুধ দেওয়া হয়। রক্ত পাতলা করা বা জমাট বাধার জন্য যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়া যাবে না এতে ক্ষতি হতে পারে।

* রক্তপাতের জন্য মস্তিষ্কের ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে। এই ক্ষতির সম্ভাবনা কমাতে ওষুধ খেতে হবে।

তাই বলা হয় কোন মানুষ যদি একবারে ব্রেন স্ট্রোক করে তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসাকের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সে অনুযায়ী চললে বা ওষুধ সেবন করলে এর হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়।

ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকাঃ

ব্রেইন স্ট্রোক রোগীদের ব্রেন স্টক হওয়ার পর অনেকেই তাদের খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাই। আর কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ব্রেন স্ট্রোককে প্রতিরোধ করা যায়। যে খাবারগুলো খেলে ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচা যায় সেগুলো হলো :

১ বাদাম : স্ট্রোকের রোগীরা যদি নিয়মিত বাদাম খায় স্ট্রোকের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ৩০ গ্রাম করে বাদাম খেতে হবে স্ট্রোকের রোগীদেরকে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।

২ রসুন : স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য রসুন অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন একজন স্ট্রোকের রোগীর এক থেকে দুই কওয়ার মত রসুন খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত রসুন খেলে ৫০% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৩ সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি খেলে স্ট্রোকে যদি অনেকটাই কমে। বিশেষ করে পালং শাক খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০% কমে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

৪ টমেটো : টমেটোর রক্ত জমাট বাঁধা ব্লক করতে সাহায্য করে থাকে কারণ টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন। টমেটো খেলে ৫৫% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

৫ লেবু কমলা মালটা যারা প্রতিদিন খায় তাদের ১৯% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমেছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

৬ কলা : কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্ত চাপ কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন কলা খেলে গবেষণায় দেখা গেছে ২৪% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কলা যে কোন সময় পাওয়া যায় তাই কলা প্রতিদিন খাওয়া উচিত সবার।

৭ সামুদ্রিক মাছ : বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ রয়েছে যেমন স্যালমন, টুনা এই মাছগুলো খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৮ মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে। মিষ্টি আলু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বলা হয় স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত মিষ্টি আলো খাওয়া উচিত।

এই খাবারগুলো পরিণত পরিমাণে খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিরহাত থেকে অনেকটা পরিমাণই বাঁচা যায়। তাই শুধু ওষুধ খেলেও হবে না খাবারের তালিকা ও ঠিক রাখতে হবে। যা স্ট্রোকের হাত থেকে বাছাই উপায় দেবে।

ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম

ব্রেন স্ট্রোক সাধারণত হয়ে থাকে মস্তিষ্কের মধ্যে। মস্তিষ্কে যখন রক্ত সরবরাহ কমে যায় তখন ব্রেন স্ট্রোক হয়। পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ কমে গেলে মস্তিষ্কের কোষগুলো তখন দ্রুত মারা যেতে শুরু করে। তাই ব্রেন স্ট্রোকে অনেকেই মারা যায়। তাইব্রেন স্ট্রোকের রোগীর শরীরের এবং ছোট খাটো যত রোগ আছে সবকিছু যত্ন নিতে হবে। একজন স্ট্রোকের রোগীর শরীরের যত্ন ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। যেমন

১ প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে : স্ট্রোকের রোগীদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাদেরকে প্রতিদিন ব্যায়াম করার জন্য পরামর্শ দেন। যৌথ ব্যায়াম করলে রোগীর কঠোরতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এর ফলে তাড়াতাড়ি বাহু গতিশীলতা ফিরে আসতে সাহায্য করে। অনুশীলন ব্যায়ামের মাধ্যমে আঙ্গু ও বাহুন নড়াচাড়া করা, কাধ নড়াচড়া করতে হবে ও ঘাড় কে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরানোর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

২ ধ্যান : একজন স্ট্রোকের রোগীকে পুনরুদ্ধার করতে ধ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে শান্ত থাকতে ও ইতিবাচকতা আনতে এবং মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে চিন্তাশক্তির উন্নত করে। তাই একজন স্টকের রোগের নিয়মিত ধ্যান করা উচিত।

৩ অনুপ্রাণিত থাকুন :একজন স্ট্রোকের রোগীকে কখনোই কোনোভাবে চিন্তা দেওয়া যাবে না। সব সময় তাকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। যদি তার সামনে আপনারা তার রোগের বিষয়ে, কিভাবে তাকে যত্ন নিতে হবে, ডাক্তারে কিভাবে পরামর্শ নিবেন এগুলো বিষয়ে যদি তার সামনে কথা বলেন তাহলে তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবে। তখন পুনরায় ব্রেন স্টক করতে পারে। এজন্য তাকে সবসময় অনুপ্রাণিত থাকতে হবে কিভাবে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনাদের।

৪ হতাশা : স্ট্রোকের রোগীকে কখনো একা রাখা যাবে না। কারণ স্ট্রোকের রোগীর আবার পুনরায় স্টক হতে পারে। তাই তাকে সব সময় লক্ষ্য দিতে হবে বিশেষ যত্ন করতে হবে। তাকে নিয়ম অনুযায়ী রুটিন তৈরি করে দিতে হবে যাতে পুনরায় আবার স্ট্রোক না হয়। তাই রুটিনের তালিকায় থাকতে পারে যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, ধ্যান করা, শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে নিজেকে জড়িত করা ইত্যাদি।সাধারণত দেখা গেছে যে যে সকল রোগীরা অনুপ্রাণিত থাকেন এবং ব্যায়ামের সকল রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত পালন করেন অন্যান্য রোগীদের তুলনায় তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

এ সকল নিয়ম মেনে চললে স্ট্রোকের হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।

ব্রেইন স্ট্রোকের ওষুধঃ

ব্রেইন স্ট্রোকের সাধারণত ভালো ওষুধ হলো আলটেপ্লেস বা সংক্ষেপে বলে tPA ঔষধ। এই ওষুধটি শিরা (IV) দেওয়া হয় কারণ মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে বাধা দিতে পারে। এই ওষুধটি শিরায় দেওয়ার পর ৪.৫ ঘন্টা পর থেরাপি দেওয়া উচিত।

বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সচেতনতার অভাবে স্ট্রোকের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা গেছে বাংলাদেশে প্রায় স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ লক্ষ্য। ঝুঁকিতে রয়েছে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় প্রতি হাজারে গড়ে তিন থেকে পাঁচজন রোগী। মস্তিষ্কের রক্তনালীর রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা কমে গেলে তখন স্ট্রোক হয়। তাই সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।

স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যাঃ

একজন স্ট্রোকের রোগীর জন্য সুস্থতা নির্ভর করে তার পরিচর্যার উপর। কারণ একজন স্ট্রোকের রোগীর আবার স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই স্ট্রোকের রোগীকে পরিচর্যার পাশাপাশি সাবধানে থাকতে হবে যাতে আবার স্ট্রোক না হয়। স্ট্রোকের রোগীদের খাবার খেতে সমস্যা হয় এতে তাদের পুষ্টি কম হয়। তাই তাদের খাবারের বিষয়ে লক্ষ্য দিতে হবে। তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে যেন অপুষ্টিতে না ভোগে। বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় যে কাউকে কাউকে আবার পুষ্টিকর খাবার নাকের লল দিয়ে দেওয়া হয়। 

অনেক স্ট্রোকের রোগী আবার দেখা যায় যে বিছানায় করে থাকে তাদেরকে এক ধ্যানে না রেখে বিছানা পাল্টাতে হবে । পায়ের ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন করছে নাকি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার দেখা যায় অনেক রোগী প্রসাব পায়খানা করার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও থাকে না তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সব সময়। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাথেটারও ব্যবহার করতে পারেন। যদি হাত পাও নড়াচাড়া না করে সে ক্ষেত্রে আপনি ফিজিওথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যায়াম বিভিন্ন ধরনের করাতে পারবেন। কথায় যদি জড়তা আসে তাহলে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই স্ট্রোকের রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা দিতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

ব্রেইন স্ট্রোকের ডাক্তারঃ

বাংলাদেশের ব্রেন স্ট্রোকের চিকিৎসায় দক্ষ এমন ১০ জন চিকিৎসকের নাম হলো :

১। প্রফেসর ডা.কাজী দীন মোহাম্মোদ
২। প্রফেসর ডা.মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান
৩। ডা.নুসরাত জাহান `
৪। ডা. মুনতাসির মাহমুদ
৫। ডা. রুমানা হক
৬। ডা. সালমান হায়দার
৭। প্রফেসর ডা. রেজাউল করিম
৮। ডা. সাইফুল ইসলাম
৯। ডা. এম এ আজিজ
১০। ডা. রফিকুল ইসলাম

এছাড়াও বাংলাদেশের ব্রেন স্টোকের চিকিৎসায় আরো অনেক ডাক্তার রয়েছে।

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি হয় ঃ

মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হলে স্ট্রোক হয়ে থাকে। আর এই স্ট্রোক হলে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কি হয়েছে অনেকেই মনে করে যে এমনি কোন অসুখ হয়েছে। তাই স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো হলে বোঝা যাবে যে সে স্ট্রোক করেছে। কেউ স্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা না হলে গুরুতর অবস্থায় পরিণত হতে পারে।

তাই কেউ স্ট্রোক করলে আপনি কিভাবে বুঝবেন তার কিছু লক্ষণ হলো

* ভারসাম্য হারানো : যারা স্ট্রোক তারা অনেকেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাই বলা হয় স্ট্রক হলে ভারসাম্য হারানোর সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের আবার মাথা ঝিমঝিম করে, মাথা ঘোরে, মাথা ভারী হয়ে আসে ব্যথা করে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় তারা বসে পড়া বা ধরে থাকার প্রবণতা রাখেন।

* চোখের সমস্যা : স্ট্রোক হওয়ার পর অনেকেরই চোখে ঝাপসা দেখে । তারা অনেকেই চোখের সমস্যা হওয়ার অভিযোগ করে থাকে। একবার দেখা যায় যে রোদে বের হলে খুব বেশি রোদে হাঁটলে শরীরের পানি কমে যায়।তাই এগুলো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

* মুখ ঝুলে পড়া বা অবস হওয়া : স্ট্রোক হলে দেখবেন মুখের একদিকে ঝুলে গেছে বা একপাশে অবস হয়ে এসেছে তখন বসে না থেকে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

* বাহু দুর্বলতা : দেখা গেছে যে স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির বাহু দুর্বল হয়ে গেছে। যে পাশে স্ট্রোক হয় সে পাশে অনেক দুর্বল হয়ে যায়। কোন কিছু নিলে বা কোন জিনিস হাত দিয়ে ধরলে তা হাত থেকে সহজেই পড়ে যায়। শরীরের পেশিগুলো অবস হয়ে যাওয়ার কারণে বাহু দুর্বল হয়ে যায়। তারা তখন শরীরের ওজন ধরে না রাখতে পেরে পড়ে যায়।

* কথা বলায় সমস্যা : মস্তিষ্কের যদি বামদিকে বিশেষ করে স্ট্রোক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কথা বলার সমস্যা দেখা দেয় স্ট্রোকের রোগীর। রোগী একটি শব্দ পুনরাবৃত্তি করতে পারে আবার দেখা যায় যে কথা অস্পষ্ট বলে। তাই আপনি রোগীর কথা বলার ধরন দেখলেই বুঝতে পারবেন।

এই লক্ষণ গুলো যদি কারো আপনি দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন যে সে ব্রেন স্ট্রোক করেছে।

কি খেলে স্ট্রোক হয় নাঃ

একজন রোগী স্ট্রোক করার পর তার স্ট্রোক করার ঝুঁকি আবার বেড়ে যায়। তাই তাকে সচেতন থাকতে হবে । তার খাবারের দিকে লক্ষ্য দিতে হবে কি খেলে সে উপকার পাবে।

লেবু জাতীয় ফল, আপেল, নাশপাতি, কলা, শাকসবজি, শিখর জাতীয় সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আলি। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন যে আলু এবং শেখর জাতীয় সবজি খোসা সহ রান্না করে খাওয়ার কথা। আটার রুটি বাদাম এগুলো খাওয়া যেতে পারে।

তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার সাথে সাথে খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখলেও স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচা যায়।

স্ট্রোকের রোগীর ফিজিওথেরাপিঃ

স্ট্রোকে রোগীর ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই স্ট্রোক করার পর ফিজিওথেরাপি করা খুবই জরুরী। এই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাড়াতাড়ি আপনি আগের মতই অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন। তাই স্ট্রোক করার পরপরই এই ফিজিওথেরাপি শুরু করা উচিত।

স্ট্রোক করার পার্কুলার রোগের প্যারালাইসিস হয়ে যায়। প্যারালাইসিস রোগীর ফিজিওথেরাপি তিন ধাপে হয়ে থাকে। প্রথম দিকে দেখা যায় যে মাংসপেশিগুলো শীথল থাকে। এ সময় রোগীর এসি গুলো যেন অবসরের না যায় সেজন্য হাত-পা এগুলো নাড়াচড়া করাতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে ৩ বার ফিজিওথেরাপি করাতে হবে। 

রোগী এক ভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে অনেক সময় দেখা যায় ঘা উঠে যায় সেজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে যে হা যেন না হয়। এজন্য রোগীর অবস্থান পরিবর্তন করাতে হবে। হাত-পা যাতে বেঁকে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রোগী যদি একটু করে উঠতে লাগে তাহলে তাকে হবে প্রতিদিন। তারপর একটু সুস্থতা দেখা দিলে দৈনিন্দ্য কাজের উপযোগী করে তুলতে হবে তাকে।

এভাবে একজন স্ট্রোক এর রোগীকে পরিপূর্ণভাবে ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সুস্থ করা যায়।

FAQ

ব্রেন স্টোক নিয়ে কিছু প্রশ্ন হলো:

১। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণ গুলো কি কি?

উত্তর : হঠাৎ করে মুখ, হাত পায়ের দুর্বলতা বা অসাড়তা, হঠাৎ করে কথা বলতে বা বুঝতে অসুবিধা হওয়া, হঠাৎ করে এক বা দুই চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে হাঁটতে অসুবিধা, মাথা ঘোরা এবং ভারসাম্য হারানো।

২। প্রশ্ন : ব্রেন স্টোকের প্রধান কারণ কি?
উত্তর : ব্রেন স্টোকের প্রধান কারণ হলো রক্তনালীর ব্লকেজ অথবা রক্তনালীর ফেটে যাওয়া।

৩। প্রশ্ন : ব্রেন স্টোকের ঝুঁকি বাড়ার কারণ গুলো কি কি?
উত্তর : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, হৃদরোগ এবং পরিবারের স্ট্রোকের ইতিহাস।

৪। প্রশ্ন : ব্রেন স্টোকের সময় তৎক্ষণিকভাবে কি করা উচিত?
উত্তর : দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, কারণ সময় মত চিকিৎসা পেলে স্টক থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

৫। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের পর রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য রোগীদের কি ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন?
উত্তর : ওষুধ, শারীরিক থেরাপি, বাগ থেরাপি, কর্ম থেরাপি এবং মাঝে মাঝে অস্ত্রপাচার।

৬। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের পরে স্মৃতিশক্তি বা চিন্তা শক্তির কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?
উত্তর : মনোযোগের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা, চিন্তাশক্তির হ্রাস।

৭। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : পুনর্বাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোগী শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৮। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের রোগীদের কি ধরনের ওষুধ খাওয়াতে হয়?
উত্তর : রক্ত পাতলা করার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ ওষুধ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ওষুধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ওষুধ।

৯। প্রশ্ন : ব্রেন স্ট্রোকের পর রোগীদের কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : প্যারালাইসিস, কথা বলতে অসুবিধা, স্মৃতিশক্তি হারানো, অবসাদ, উদ্যোগ, দৃষ্টি শক্তির সমস্যা, শারীরিক দুর্বলতা।

১০। প্রশ্ন : ব্রেন স্টোকের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের জন্য কি ধরনের পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
উত্তর : স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার, ওষুধের নিয়মিত ব্যবহার, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ।

শেষ কথা: ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম

পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না ব্রেন স্ট্রোক রোগীর খাবার তালিকা - ব্রেইন স্ট্রোকের রোগীর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পারলেন । আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম